উত্তম চরিত্র মানুষের উত্তম একটি গুণ। যা মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বে পৌছোতে সাহায্য করে। কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় রাসুল সা. কে সম্বোধন করে বলেন:
فَبِمَا رَحۡمَۃٍ مِّنَ اللّٰهِ لِنۡتَ لَهُمۡ ۚ وَ لَوۡ کُنۡتَ فَظًّا غَلِیۡظَ الۡقَلۡبِ لَانۡفَضُّوۡا مِنۡ حَوۡلِکَ ۪ فَاعۡفُ عَنۡهُمۡ وَ اسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ وَ شَاوِرۡهُمۡ فِی الۡاَمۡرِ ۚ فَاِذَا عَزَمۡتَ فَتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُتَوَکِّلِیۡنَ
অর্থ: (হে নবী! এসব ঘটনার পর) আল্লাহর রহমতই ছিল, যদ্দরুন তাদের প্রতি তুমি কোমল আচরণ করেছ। তুমি যদি রূঢ় প্রকৃতির ও কঠোর হৃদয় হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে বিক্ষিপ্ত হয়ে যেত। সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা কর, তাদের জন্য মাগফিরাতের দু‘আ কর এবং (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয়ে তাদের সাথে পরামর্শ করতে থাক। অতঃপর তুমি যখন (কোন বিষয়ে) মনস্থির করবে, তখন আল্লাহর উপর নির্ভর করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদেরকে ভালোবাসেন।
আল হাফিজ আব্দুর রউফ আল মুনাওয়ি রহিমাহুল্লাহ (মৃত্যুঃ ১০৩১ হিজরী) থেকে বর্ণিত, ইউসুফ ইবনু আসবাত বলেন: উত্তম চরিত্র ১০ টি গুণাবলির মধ্যে নিহিত।
১০ টি গুণাবলি হলো:
১। অপ্রয়োজনীয় তর্কে লিপ্ত না হওয়া।
২। অন্যদের সাথে ন্যায্য আচরণ করা।
৩। মানুষের দোষ ত্রুটি খোঁজা থেকে বিরত থাকা।
৪। যে কোন মন্দ গুণাবলী সংশোধন করার এবং নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করা।
৫। মানুষের দোষ ত্রুটির ক্ষেত্রে ওজর তালাশ করা।
৬। বিপদে সবর করা।
৭। আত্মসমালোচনা করা।
৮। নিজের ভুল ভ্রান্তি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং অন্যের ভুল ত্রুটির গবেষণা থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
৯। হাসিমুখে থাকা।
১০। কথাবার্তায় নম্রতা অর্জন করা।
[ ফাইদ্বুল ক্বাদির – ৩/৪৬৪]