হজরত আকিল ইবনে আবু বুকাইর রা. রাসুল সা.-এর সাহাবী ছিলেন। রাসুল সা.-এর যুগে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে মদিনায় হিজরত করেন।
নাম ও বংশ:
আকিলরা ছিলেন চার ভাই- আকিল, ইয়াস, খালেদ ও আমের। তার পিতার নাম আবু বুকাইর। তাদের সকলের বংশধারা হলো, আবু বুকাইর ইবনে আবদে ইয়ালিল ইবনে নাশিব ইবনে গাইরা ইবনে সাদ ইবনে লাইস ইবনে বকর ইবনে আবদে মানাত ইবনে কিনানা কিনানি পাইসি ।
ইসলাম গ্রহণ ও হিজরত:
আরকাম রা.-এর ঘরে ইসলাম গ্রহণের সূচনা হয়েছিল মূলত তাদের চার ভাইয়ের মাধ্যমেই। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরকাম রা.-এর ঘরে যাওয়ার পর সর্বপ্রথম তারা চার ভাই মুসলমান হয়েছেন। তারা সকলেই নিজেদের পরিবার-পরিজন নিয়ে একসাথে মদিনায় হিজরত করেন। মক্কায় তাদের বাড়ির দরজা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। মদিনায় আসার পর তারা সকলে রিফাআ ইবনে আবদুল মুনজিরের মেহমান হন ।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হারেস ইবনে খুজাইমার সাথে ইয়াসির, ইয়াজিদ ইবনে দাসিনার সাথে খালিদের, মুবাশ্বির ইবনে আবদুল মুনজিরের সাথে আকিলের এবং কায়েস ইবনে শাম্মাসের সাথে সাবিতের ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করে দেন।
যুদ্ধে অংশ গ্রহণ:
মদিনায় আসার পর তারা চারজন বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের সবার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সৌভাগ্যবান ছিলেন আকিল রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি বদর যুদ্ধে মালেক ইবনে যুহাইরের হাতে শহিদ হন। তার অপর তাই খালেদ রা. বদর ও উহুদযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। চতুর্থ হিজরিতে সংঘটিত রাজি অভিযানে তিনি শহিদ হন ।
অপর ভাই আমের রা. বদর, উহুদ ও খন্দক যুদ্ধে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৩ হিজরিতে মুরতাদদের দমনে বের হন। এরই ধারাবাহিকতায় ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি শাহাদাতবরণ করেন ।
অপর ভাই ইয়াস রা. বদর, উহুদ, খন্দক, খাইবারসহ সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। ৩৪ হিজরিতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। অর্থাৎ, ইয়াস রা. ব্যতীত অন্য তিন ভাই ১৩ হিজরির মধ্যেই শাহাদাতবরণ করেছেন।