হযরত খাব্বাব, উমায়ের ইবনে রিয়াব ও আমর ইবনে উসমান রা. ছিলেন আল্লাহর রাসুল সা.-এর সাহাবী। ইসলামের সোনালি যুগে তারা হেদায়েতের সুশীতল ছাড়ায় আশ্রয় নেন।
হজরত খাব্বাব রা.-এর জীবনী
নাম: খাব্বাব। উপনাম: আবু ইয়াহইয়া। তিনি বনু নওফাল ইবনে আবদে মানাফের মিত্র ছিলেন। প্রসিদ্ধ সাহাবি উতবা ইবনে গাজওয়ান রা.-এর গোলাম ছিলেন।
তিনি কত সনে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং কখন হিজরত করেছেন, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। তবে অনুমান করা যায়, তিনি নিজ মনিব উতবা ইবনে গাজওয়ান রা.-এর সাথেই মুসলমান হয়েছেন এবং তার সাথেই হিজরত করেছেন। আর তার মনিব ইসলামের শুরু দিকেই মুসলমান হয়েছেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খিরাশের গোলাম তামিমের সাথে তার ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করে দিয়েছিলেন ।
মদিনায় আসার পর সর্বপ্রথম তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। এরপর উহুদ ও খন্দক প্রভৃতি যুদ্ধে তিনি নিজ বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন । উমর রা.-এর শাসনামলে ১৯ হিজরিতে মদিনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। উমর রা. তার জানাজার নামাজ পড়িয়েছেন |
উমায়ের ইবনে রিয়াব রা.-এর জীবনী
নাম: উমায়ের। পিতার নাম: রিয়াব। তার বংশধারা হলো, উমায়ের ইবনে রিয়াব ইবনে হুজাইফা ইবনে মিহসাম ইবনে সাদ ইবনে সাহাম। মায়ের নাম উম্মে ওয়ায়েল। মায়ের দিক থেকে বংশধারা হলো, উম্মে ওয়ায়েল বিনতে মা’মার ইবনে হাবিব ইবনে ওয়াহাব ইবনে হুজাফা ইবনে জুমাহ।
ইসলাম গ্রহণ ও হিজরত হিজরতের অনুমতি লাভের বহু পূর্বে তিনি মুসলমান হয়েছেন। আবিসিনিয়া অভিমুখে সংঘটিত দ্বিতীয় হিজরতের সময় সেখানে হিজরত করেছেন।
ইরাক বিজয়ের প্রাক্কালে খালেদ ইবনে ওয়ালিদ রা.-এর অধীনে অংশগ্রহণ করেছেন। আইনে তামার যুদ্ধে শাহাদাতবরণ করেন। তার কোনো সন্তান ছিল না।
হজরত আমর ইবনে উসমান রা.-এর জীবনী
নাম: আমর। পিতার নাম উসমান। তার বংশধারা হলো, আমর ইবনে উসমান ইবনে আমর ইবনে কাব ইবনে সাদ ইবনে তাইম ইবনে মুররা। ইসলাম গ্রহণ ও হিজরত ইসলামের শুরু দিকেই তিনি মুসলমান হয়েছেন। আবিসিনিয়ার দ্বিতীয় হিজরতের সময় সেখানে হিজরত করেছেন।
উমর রা.-এর শাসনামলে ইরান অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় কাদেসিয়া যুদ্ধে তিনি শহিদ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন । শাহাদাতের সময় তার কোনো সন্তান ছিল না।