মিসওয়াক একটি হারিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। প্রিয় নবী (সা.) অজুর পূর্বে মিসওয়াক করতেন। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, যদি আমি আমার উম্মতের কষ্টের আশংকা না করতাম। তাহলে মেসওয়াক করাকে আবশ্যক করে দিতাম। এটি রাসুল (সা.)-এর এত প্রিয় একটি আমল যে, তিনি অজুর পূর্বে মিসওয়াক করতেন। তাছাড়া মেসওয়াক ফিতরাতের অন্তর্ভূক্ত।
মেসওয়াক সংক্রান্ত হাদিসগুলোর আলোকে কতিপয় ইমামগণ এটিকে নামাজের জন্য সুন্নত সাব্যস্ত করেন।
নিয়মিত মেসওয়াক করার মাঝে নিহিত রয়েছে এমন কতিপয় ফজিলত যা জানলে আমলের আগ্রহ বাড়বে। তাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাজায়েল তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
মিসওয়াক করার ফজিলত সমূহ
১। মিসওয়াক আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম।
২। মুখ কে পবিত্র ও পরিষ্কার রাখার মহৌষধ।
৩। মৃত্যু ছাড়া সব রোগের শিফা।
৪। চোখের জ্যোতি বাড়ায়
৫। দাঁতের মাড়ি সমূহ মজবুত কর তুলে।
৬। কফ, শ্লেষ্মা কে দূর করে।
৭। পেটে পানি জমতে বাধা দেয়।
৮। ফিরিশতাগণ খুশি হন।
৯। রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর একটি মহামূল্যবান সুন্নত আদায় হয়।
১০। নামাজের সওয়াব বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
১১। শরীর কে সুস্থ ও সবল করে তোলে।
১২। স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে।
১৩। কবরের জন্য শান্তি দায়ক।
১৪। শয়তান অখুশি হয়।
১৫। আরামের সাথে জান কবজ হয়।
১৬। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেসওয়াকের দরুন মৃত্যুর সময় কালিমা নসিব হয়ে ইমানদার হিসেবে মৃত্যুবরণ করার। সৌভাগ্য অর্জনের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
পরিশেষে, একটি হাদিস দিয়ে শেষ করছি। এই হাদিস থেকেই বুঝা যায় মেসওয়াকের গুরুত্ব কত বেশি।
عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ ان رسول الله (ﷺ) قال “ لولا ان اشق على امتي ـ او على الناس ـ لامرتهم بالسواك مع كل صلاة ”.
“আমি যদি উম্মতের উপর (কষ্ট হবার) আশংকা না করতাম তাহলে প্রত্যেক নামাজেই মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।” [বুখারী শরীফ, হাদিস নং৮৮৭]
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে নিয়মিত মিসওয়াক করার তাওফিক দান করুন। আমীন।