বর্তমান সময়ে যে সকল নাশিদগুলো ইসলামী নাশিদ বলে প্রচার করা হয়। সেগুলোর অধিকাংশই শ্রবণ করা হারাম। কেননা তাতে হারাম বাজ্য যন্ত্রের উপস্থিতি পরিলক্ষিত। একটা সময় ছিল যখন ইসলামি সংগীতে হারাম বাজনা ব্যবহার করা হত না। সাদা-মাটা ভাবে নাশিদগুলো পরিবেশন করা হত। যারা নাশিদ পরিবেশন করত, তারা লিল্লাহিয়্যাতের জন্য পরিবেশন করত। মানুষ প্রশান্তি চিত্তে সেগুলো শুনত।
দিন যত এগুচ্ছে, ইসলামী সাংস্কৃতিক জগতে অধঃপতন তত দ্রুত হচ্ছে। এ সব বিষয় সামনে আশা সত্ত্বেও প্রতিবাদ-প্রতিহত না করলে অদূর ভবিষ্যতে ইসলামী সংস্কৃতি বলতে কোন কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। গান আর নাশিদ সবকিছু একাকার হয়ে যাবে।
কারা এ সকল ফেতনা ছড়াচ্ছে?
বলে রাখা ভালো, এ সকল অপকর্মের সাথে কিন শ্রেণীর মানুষ জড়িত। যারা প্রকাশ্যে ফেতনা ছড়াচ্ছে।
- গানের শিল্পীরা।
- কতিপয় নাশিদ শিল্পী।
- কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
সমাজে এদের দ্বারা ফেতনা বেশী ছড়াচ্ছে। সুতরাং এদের নাশিদ শ্রবণ থেকে বিরত থাকা উচিত। শুধু নাশিদগুলোতেই হারাম বাদ্য যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তা নয়; বিভিন্ন আমেলদের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশের সাথে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে হারাম ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। আর সেগুলো প্রচার করা হচ্ছে মটিভিশনাল ভিডিওয়ের নামে।
এগুলোকে পুঁজি করে হাজার হাজার লাইক, কমেন্ট ভিউ কামিয়ে নিচ্ছে উপরোক্ত তিন শ্রেণীর লোকেরা। লক্ষ্য করলে দেখবেন, নাশিদগুলোর সাধারণত দুটো ভার্সন পাওয়া যায়। যদি কোনো নাশিদ বাদ্য যন্ত্রের ব্যবহার অনুপস্থিত থাকে। তাহলে সেগুলোকেও পুনরায় হারাম বাজনা যুক্ত করে রিআপলোড করা হয়।
আমাদের সতেচন হওয়ার দরকার। আমাদেরকে কী শোনানো হচ্ছে! হারাম বাদ্য যন্ত্র মিশ্রিত কোনো মিউজিক নয় তো! যা আমার ইমান ও আমলকে বরবাদ করে দিচ্ছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُحِبُّوۡنَ اَنۡ تَشِیۡعَ الۡفَاحِشَۃُ فِی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ۙ فِی الدُّنۡیَا وَالۡاٰخِرَۃِ ؕ وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ وَاَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ
স্মরণ রেখ, যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার হোক এটা কামনা করে, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে আছে যন্ত্রণাময় শাস্তি এবং আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হারাম নাশিদ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।